ঘড়িটা বুঝি ঠিকমত চলিতেছে না। দুইটা-কুড়িতে কলিকাতার ট্রেন আসিবে। সেই
গাড়িতেই প্রদীপের ফিরিবার কথা। আসিয়া পৌঁছিলে হয়?
অরুণা স্বামীর মুখের দিকে তাকাইয়া কহিলেন, “ষ্টেশনে গাড়ি থাকবে ত”?”
স্বামী ঘরের মধ্যে অস্থির হইয়া পাইচারি করিয়া বেড়াইতেছিলেন, স্ত্রীর কথায় একটু
থামিয়া একটা শোকাতুর দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া শুধু কহিলেন,_“আর গাড়ি!”
সেই স্তব্ধ-স্তস্তিত ঘরে কথার অর্থটা স্পষ্ট হইয়া উঠিল। বাবোটা বাজিয়া ঘড়ির ছোট
কাটাটা যেন আটকাইয়া গেছে,_সুধীর জীবনে দুইটা-কুড়ি বুঝি আর বাজিল না!
প্রদীপের ফিরিয়া আসিবার আগেই প্রদীপ নিভিবে।
আকাশ ভরিয়া তারা জাগিয়াছে, কোটি কোটি জগৎ, কোটি কোটি জীবন! সমস্ত আকাশ
ব্যাপিয়া কি বিস্তীর্ণ পথ, কি অপরিমেয় ভবিষ্যৎ! অবনী বাবু জানালা দিয়া বাহিরে
চাহিলেন; রাস্তায় দূরে বাতি-থামের উপর একটা লগ্ঠন জ্লিতেছে শুধু। সুযুপ্ত, প্রশান্ত
রাত্রি।
তারপর কি হলো তা জানতে হলে সম্পূর্ণ বইটি পড়তে হবে। নিচে থেকে বইটি পড়তে পারবেন।
..:: Book info ::..
Book Name: | Kakjotshna |
---|---|
Writer: | Humayun AhmedAchintya Kumar Sengupta |
Book Type: | Novel |
Total Page: | 145 |
Leave a Reply